কক্সবাজার শহর ও রামুতে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতরা হলেন- মোহাম্মদ শাহেদ (১৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৮)। তাদের বাড়ি কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায়। শিশু সায়মা (৫) ও জিহান (৭) রামুর চেইন্দা এলাকার জিয়াউর রহমানের সন্তান।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, রামুর চেইন্দা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের সায়মা ও জিহান নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মাটিচাপা পড়া অবস্থায় তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনার কলিকে (২৯) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত দম্পতিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় অপর পাহাড় ধসের ঘটনায় মোহাম্মদ শাহেদ ও সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও আরফাত হোসেন-কে (৩০) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গত তিনদিন ধরে কক্সবাজার জুড়ে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। অমানিশার জোয়ার, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি উপকূল সমতল সবখানেই প্লাবিত হচ্ছে।
সোমবার রাত ১০টার পর হতে মুষলধারে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ভোররাতের দিকে এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনার জন্ম দেয়।
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী, উখিয়া, টেকনাফেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। পাহাড় ধ্বস এলাকার মাটি সরানোর কাজ দ্রুত চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, শনিবার থেকে কক্সবাজার জুড়ে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment