Monday, July 31, 2017

শারজাহে বাংলা সংগীতসন্ধ্যা




বাংলা গানের দুই কিংবদন্তি হাসন রাজা ও শাহ আবদুল করিমের বিখ্যাত গান নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহে সংগীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার শারজাহের একটি হোটেলে আয়োজিত এই সংগীতসন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী জাবেদ আহম্মদ মাসুম ও ফেরদৌসী নার্গিস শম্পা। কমিউনিটির পক্ষে এ সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন করেন হাজি শফিকুল ইসলাম। মিডিয়া পার্টনার ছিল একাত্তর টিভি ও প্রবাসের নিউজ ডটকম।

উৎসব প্রিয় বাঙালি যেকোনো উৎসবেই মেতে ওঠেন। আর তা যদি হয় বাউল গান, সবাই গলা ছাড়েন একসঙ্গে। প্রবাসীরা এভাবেই মেতে উঠেছিলেন প্রাণের সুরে। নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকল বয়েসি প্রবাসী ছুটে এসেছিলেন প্রাণের টানে।

মাসুম ও শম্পা হাসন রাজা ও শাহ আবদুল করিমের মৌলিক গান নিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লুৎফুর রহমান ও নৃত্যশিল্পী তিশা সেন। অনুষ্ঠানে নানা মন মাতানো গান প্রবাসীরা উপভোগ করেন। আয়োজকেরা জানান নতুন প্রজন্মকে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় ঘটাতেই এ আয়োজন।
আরব আমিরাতের অন্য অনুষ্ঠানের মতো এই অনুষ্ঠানও শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। নানা প্রদেশ থেকে প্রবাসীরা আসতে দেরি হয় বলে এই বিবেচনায় এখানকার অনুষ্ঠান শুরু একটু দেরি করেন আয়োজকেরা। ঘড়ির কাটায় যখন রাত ৯টা ৪৫ মিনিট তখন মঞ্চে আসেন আয়োজক হাজি শফিকুল ইসলাম। তিনি শুভেচ্ছা জ্ঞাপনে মঞ্চে ডাকেন কমিউনিটির নেতৃস্থানীয়দের। তিনি জানান অনুষ্ঠান আয়োজনের নেপথ্য কথা। আরও বলেন, বাংলা গানের দুই কিংবদন্তি হাসন রাজা আর শাহ আবদুল করিমকে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় ঘটাতে এবং বাংলা গানকে ভালোবাসাতে এ আয়োজন।
এরপর মঞ্চে আসেন উপস্থাপিকা তিশা সেন। তিনি ডাকেন সহযোগী উপস্থাপক লুৎফুর রহমানকে। তারা দুজন মিলে শুরু করেন গানের আসর পরিচালনা। তাঁদের আহ্বানে মঞ্চে এলেন কণ্ঠশিল্পী মাসুম ও শম্পা। সঙ্গে কলাকুশলী ছিলেন সানি, তালহা, নূর ও রফিক। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।

প্রথমে হাসন রাজার তিনটি গান পরিবেশন করেন মাসুম। নেশা লাগিল রে, মাটিরো পিঞ্জিরার মাঝে ও বাউলা কে বানাইলো রে। শুরু হয় দর্শক শ্রোতার উল্লাস। এরপর আসেন শম্পা। তিনি শাহ আবদুল করিমের তিনটি গান—আইলায় না আইলায় না রে বন্ধু, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু, কোন মেস্তরি নাও বানাইছে..। তাঁর গান পরিবেশনার সময় দর্শকেরাও গলা ছাড়েন সম সুরে। মরুভূমির আকাশ বাতাসে তখন যেন বাংলা গানের বসন্ত বাতাস।
শম্পার গানের পর আবার মঞ্চে আসেন মাসুম। তিনি করেন শাহ করিমের অন্য তিনটি গান। তারপর আবার আসেন শম্পা। তিনি করেন হাসন রাজার অন্য তিনটি গান। এমন করে একেক শিল্পী গান পরিবেশন করেন দুই কিংবদন্তির নয়টি করে গান।

সবশেষে ছিল আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম। এই গানের সময় সবাই একসঙ্গে নেচে ওঠেন। এ যেন প্রাণের সঙ্গে বেঁধেছে যে সুর। সবাই এই গানটি অনেক আনন্দে পরিবেশন করেন। ঘড়ির কাটায় যখন ঠিক ১২টা আরব আমিরাতের আইন অনুযায়ী বন্ধ হয় মাইক। সাঙ্গ হয় মিলনমেলা।

Monday, July 24, 2017

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে দুই শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু


কক্সবাজার শহর ও রামুতে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা এবং রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- মোহাম্মদ শাহেদ (১৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৮)। তাদের বাড়ি কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায়। শিশু সায়মা (৫) ও জিহান (৭) রামুর চেইন্দা এলাকার জিয়াউর রহমানের সন্তান।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, রামুর চেইন্দা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের সায়মা ও জিহান নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

মাটিচাপা পড়া অবস্থায় তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনার কলিকে (২৯) জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত দম্পতিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় অপর পাহাড় ধসের ঘটনায় মোহাম্মদ শাহেদ ও সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও আরফাত হোসেন-কে (৩০) আহত  অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, গত তিনদিন ধরে কক্সবাজার জুড়ে অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে। অমানিশার জোয়ার, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি উপকূল সমতল সবখানেই প্লাবিত হচ্ছে।

সোমবার রাত ১০টার পর হতে মুষলধারে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত ভোররাতের দিকে এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনার জন্ম দেয়।

কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী, উখিয়া, টেকনাফেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। পাহাড় ধ্বস এলাকার মাটি সরানোর কাজ দ্রুত চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, শনিবার থেকে কক্সবাজার জুড়ে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পর্ক মরে, ভালোবাসা মরে না

কত দিন পরে আমরা দুজন মুখোমুখি।

ম্যাপল পাতার মতো সিঁদুরে লাল হয়ে আছে অমিতের মুখের পাতা। গাছের ব্যাজ থেকে ঝরে পড়ছে কথা। কেমন আছ, কথাময়ী? প্রশ্নটা গাছ হেলানো। কেউ না জানুক অমিত তো জানে স্বভাব আমার উইন্ডসোয়েপ্ট।

তুমুল বাতাসে ডাল লতাপাতাসহ হেলে যাই, ওটাই আমার ইমোশনাল বয়স। কিন্তু ভেঙে পড়ি নাম আর সেটাই আমার ইন্টেলেকচুয়াল বয়স। আমি ঝরে পড়া কথার হলদে পাতাটা নিয়ে উত্তর করি—যেমন চেয়েছ।

কেমন ছিলে? অমিতের দ্বিতীয় প্রশ্ন।

সবুজ রঙের একটা ম্যাপল পাতা ছিঁড়ে বলি, যেমন রেখেছিলে।

কোথায় আছ?

অমিতের তৃতীয় প্রশ্নটা আমাকে মেরে ফেলে প্রতি রাতে। আমি লাল বর্ণের একটা পাতা হাওয়ায় উড়িয়ে বলি, যেখানে তুমি নেই।

ময়ী, চিরকালই তোমার ধারে কাটা স্বভাব। একদম বদলাওনি আমার উইন্ডসোয়েপ্ট।

আমি আমার কৃষ্ণচূড়া রঙের চোখের দৃষ্টি অমিতের চোখের বাগানে সরাসরি রেখে বলি, হুম। আমার বদলে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠেনি; যেমন হয়ে উঠেছিল আমার কাছ থেকে তোমার সরে যাওয়া।

অমিত সাদা শার্টের গলার কাছের বোতামটি খুলে দেয়। গরম লাগছে ওর। খুলতে খুলতেই বলে, আগুনে পড়লেই কেবল মানুষের মরণ হয় এই কথা যেমন সত্য, বরফে পড়লেও হতে পারে, এটাও মিথ্যে নয়। আমি মরছি ময়ী তোমার মুখের কথার শীতল দহনে।
হঠাৎ করে দহনের শিস দিয়ে গেল একটা চির বিরহী পাখি।
আজ এত বাতাস এই ম্যাপল গাছের আঁচলে। আমি কোমর সমান চুলগুলো একঝলকে মুচড়ে ফেলি। তুলে রাখি খোঁপা নামের কারাগারে। ওসব ওর এত পছন্দ ছিল! খোঁপাতে ঘ্যাঁচ করে কাঠি মতন একটা ফলা আটকে রাখতে রাখতে বলি, হাহ! শীতল দহন। তাই কি? লাগছে গায়ে, খুব? অমিত শোনো, প্রেমের আগুনে পড়লে কেউ পুড়ে নিঃশেষ হয়। কেউ ঝলসে ওঠে। কেউ মরে যায়। একদম মরে যায়। কেউ বেঁচে থেকে জানিয়ে দিতে জানে, সম্পর্ক মরে, ভালোবাসা মরে না। সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ভেতরের যে ভালোবাসাটুক অবশিষ্ট থাকে, তা ব্যবচ্ছেদ করবার সাধ্য তো কারও নেই।
কত দিন পরে আমরা দুজন আবারও একসঙ্গে।
ম্যাপল পাতারা টুপটাপ করে ঝরছে অবিরাম। পাতা ঝরার দৃশ্যের সঙ্গে স্মৃতির নিবিড় একটা সাদৃশ্য আছে। ঝরে পড়া পাতা দেখলেই জীবন থেকে ঝরে পড়া মানুষের কথা মনে পড়ে। আনমনে অতীত স্মৃতিবিধুরতার কোল হতে উছলে পড়ে কিছু কথা।
আমি নাকের ডগা থেকে শিশিরের মতো টলমল করা ঘাম মুছতে মুছতে বলি, অমিত! অমিত মনে আছে তোমার? আমার ঝলসে ওঠা স্বভাবই একদিন আকৃষ্ট করেছিল তোমাকে। বখাটেকে থাপ্পড় দেওয়া একটা বিকেল তখন ঘরে ফিরছিল, রাত্রিকে সময়ের মালিকানা দিয়ে। সেটাই ছিলাম আমি। তোমার উইন্ডসোয়েপ্ট। কীভাবে বদলায় নিজেকে বলো? মরণকে আনতে শুধু শান বসানো ছুরি আর উত্তপ্ত বাক্য লাগবে কেন, অমিত? একদিন তোমার ডিপ ফ্রিজ খুলে দেখ। দেখবে, বরফগুলো তেরছা করে ধরলে সেটা দিয়েও মানুষ হত্যা করা যায়। নরম মাটি যেমন পুড়ে কঠিন ইট হয়। তোমার প্রেমের বিরহ বিষে নীল হয়ে গেছি।
অমিত, তুমি চেয়েছিলে ভালো থাকি আমি। আমাকে প্রাচুর্যের মধ্যে দেখতে হিমাগারে রেখেছিলে আমাদের ভালোবাসা। বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া দেয়, শরৎ বাবুর এই মহান উক্তিকেই আলিঙ্গন করেছিলে। কেন অমিত? বোকা তুমি জানলেই না বর্ষার ঢলে যে জল উথলে পড়ে তা তৃষ্ণার জল না হয়ে কাঁদনও হতে পারে। অমিত, রবীন্দ্রনাথ আমার প্রথম প্রেম, দ্বিতীয় তুমি ছিলে।
অমিতের নদীর মতো ভরাট কণ্ঠ। সে জানে কখন আমার গান শুনতে হয়। ছলছল ঢেউয়ে বেজে ওঠে ওর স্বর। অমিত গেয়ে ওঠে, আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়, আমি তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথে যে জন ভাসায়...।
আমি কেমন সম্মোহনের সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছি।
অমিতকে বলি, গানটা এখনো আমার প্রিয়। আলো-আঁধারির সন্ধিক্ষণে এই গান শুনে কী ভীষণ কাঁদি। আমার জন্য তোমার কল্পিত সুখে থাকার সেই সোনার পালঙ্কে বসে। জানো অমিত, অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত আমি। ইনসমনিয়া! প্রতিরাতে ঘুমের সব চেষ্টায় বিফল হয়ে পত্রিকায় চোখ রাখি। কত কী পড়ি। এইতো সেদিন পড়লাম, ব্রাজিলের এলিস্যানি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কিশোরী মেয়েটি প্রেম করছে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার ফ্র্যান্সিনাল্ডো নামের ছেলেটার সঙ্গে। ওরা একে অপরকে চুমু দিতে কি ঝামেলায় না পড়বে ভাব একবার! কোন উচ্চতায় মাপবে তুমি তাঁদের? বাহ্যিক নাকি হৃদয়ের?
আমাকে কথিত সমাজের সুখের কাছে বিসর্জন দিয়ে কোন উচ্চতায় যেতে চেয়েছিলে তুমি? অমিত, আমার না ঘুম হয় না। কেবল মনে হয় অকিঞ্চন খাটেই ঘুমটা বুঝি গাঢ় হয়। শান্তির হয়। তোমার সেই খাটটা কি বিক্রি করে ফেলেছ?
অমিতের সাদা শার্ট ভিজে টুপটুপ। যেন বৃষ্টি উত্তাল। অথচ এই শহরে কত দিন বৃষ্টি হয় না! অমিত উত্তর করে, হুম। খুব সস্তায়। এত গাড় ওর গলার স্বর। বৃষ্টি নেই কোথাও। অথচ বুক ভেঙে যাচ্ছে তুমুল বজ্রপাতে। আমি অমিতের সাদা শার্টের বোতাম লাগিয়ে দিয়ে বলি, আহারে! সস্তায় কত কী পাওয়া যায় অথচ শান্তি কিনতে পাওয়া যায় না। আমার শুধু মনে হয় ওখানে অনেক ঘুম।

অস্ট্রেলিয়ায় অলৌকিক শিশু

প্রায় সব দম্পতিই স্বপ্ন দেখেন সুন্দর ফুটফুটে একটা শিশুর। ঠিক এমনটাই আশা ছিল অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ভোলা প্যাপাস ও তাঁর স্বামীর। তবে তাঁদের স্বপ্ন যেন একটু তাড়াতাড়িই পৃথিবীর আলো দেখে ফেলে। মাত্র ২৫ সপ্তাহেই জন্ম নেয় ভোলা প্যাপাসের দ্বিতীয় কন্যাসন্তান দিমিত্রা প্যাপাস। জন্মের সময় প্রায় ৯৫০ গ্রাম ওজন ছিল দিমিত্রার, যা কিনা একহাতের তালুতে সহজেই নেওয়া যায়। গত মে মাসে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের র‍্যান্ডউইক রয়াল হসপিটাল ফর উইমেনে জন্ম হয় ‘অকালজাত শিশু’ দিমিত্রার। গুরুতর শারীরিক জটিল অবস্থা নিয়ে জন্মে এখনো বেঁচে থাকায় দিমিত্রাকে অলৌকিক শিশু বলে আখ্যায়িত করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেকেই।
সিডনির লিভারপুলের একটি হাইস্কুলের শিক্ষিকা ভোলা প্যাপাস অন্যান্য দিনের মতোই শিক্ষাদানে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ রক্তপাত শুরু হলে জরুরি ভিত্তিতে সিডনির বিখ্যাত র‍্যান্ডউইকের রয়াল হসপিটাল ফর উইমেনে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে তাঁকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই দিমিত্রার জন্ম দেন প্যাপাস। ঘটনার বর্ণনায় প্যাপাস বলেন, পুরো ব্যাপারটা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ঘটেছে। ডাক্তার ও সমস্ত ধাত্রীরাও একেবারে আশ্চর্য হয়ে গেছেন।
জন্মের পর গত দুই মাস ধরেই দিমিত্রা হাসপাতালটির নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) গভীর পরিচর্যায় রয়েছে। দিমিত্রা অনেকটা অলৌকিকভাবেই এখনো বেঁচে আছে। রয়াল হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের সহপরিচালক অধ্যাপক কেই লুই দিমিত্রার ঘটনার ব্যাখ্যায় বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৬০০-র মতো অকালজাত শিশুর জন্ম হয় এই হাসপাতালে। তবে এদের বেশির ভাগই দুই থেকে তিন মাস বেঁচে থাকে। ২৩ সপ্তাহ বয়সী শিশুর জন্মের ঘটনাও রয়েছে যাদের ওজন ছিল মাত্র ৪০০ গ্রামের মতো। তবে এদের ৫০ ভাগ সম্ভাবনা থাকে বেঁচে থাকার। ২৫ সপ্তাহ বয়সী দিমিত্রার শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই গুরুতর শঙ্কাজনক। এমন শারীরিক অবস্থায় পাঁচ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকে নবজাতকের। দিমিত্রাকে এনআইসিইউতে একটি ভেন্টিলেটর ও রক্ত সঞ্চালক ইনকিউবেটরে রাখার এক সপ্তাহের মধ্যেই তার ওজন বেড়ে আড়াই কেজিতে দাঁড়ায় বলে জানান কেই লুই।

Sunday, July 23, 2017

দিস ইজ দা লাভলী ম্যান নিকোলাস জেমস ভুজিসিক


১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবর্ন শহরে দুই হাত ও দুই পা বিহীন জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম ছিলো নিকোলাস ভুজিসিক। তার মা তাকে ১০ মাস গর্ভে রেখেছিলো জন্মের পর এমন শারীরীক অবস্থা দেখে সেই মাও তাকে বাড়িতে নিতে অস্বীকার করে, তবে পরক্ষনে তার বাবার অনুরোধে তাকে নিয়ে যেতে রাজি হন তার মা। আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে ভুজিসিক, কিন্তু তার এই শারীরীক প্রতিবন্ধকতার জন্য চারপাশের মানুষের কাছে অনেকটাই উপহাসের বিষয় ছিলেন তিনি। কিন্তু তার বাবা তাকে বলতেন, "তুমি বিধাতার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য উপহার, শুধুমাত্র একটু ভিন্ন মোড়কে"। তুমি হতাশ হয়ো না ভুজিসিক। ওই যে শুরু হলো তার পথচলা আর থামতে হয়নি তাকে। নিজের উপর পূর্ন বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চললেন তিনি___
®®®
তিনি স্নাতক করেছেন দুইটি বিষয়ের উপর "অ্যাকাউন্টিং" এবং "ফাইন্যান্সিয়াল প্লানিং" যা হয়তো আমাদের মতো সাধারন সয়ং সম্পন্ন মানুষের পক্ষেও সহজ নয়। বর্তমানে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে। তার বক্তৃতা শুনে হাজার হাজার মানুষ নিজেকে মোটিভেট করছে। তবে তিনি সবসময় ভাবতেন, হয়তো তিনি কখনো বিয়ে করতে পারবেন না, কারন তার এই অঙ্গহীনতার জন্য হয়তো কোন নারী তাকে পছন্দ করবে না, বা, বিয়ে করবে না। কিন্তু তার সেই ধারনা ২০০৮ সালে ভুল প্রমান করে দিয়েছিলো এক রমনী। জাপানী বংশউদ্ভুত আমেরিকান ওই নারীর নাম ছিলো "ক্যানা মিহারা"। ক্যানা বলেন, "আমি যখন ওকে প্রথম দেখলাম তখন আমার মনে হয়েছিলো আমি যা চাই ওর ভিতরে তার সবই আছে। তারপর আমাদের চেনা জানা শুরু হয় এবং আমরা দুজন দুজনকে পছন্দ করে বিয়ে করি। একবার সাংবাদিকরা ক্যানা কে জিজ্ঞাসা করেছিলো - যদি আপনার সন্তানও ভুজিসিক এর মতো হয় তবে..... উত্তরে তিনি বলেছিলেন- তাহলে আমিও আরেকটা ভুজিসিক এর জন্ম দিবো......
®®
এবার আসি মূল বিষয়ে ---
এই পৃথিবীতে আমরা অনেকেই হয়তো পাওয়া না পাওয়ার অনেক হিসাব করি। আমরা ভাবি আমরা এটা পাইনি, ওটা পাইনি, এমনকি এর জন্য সৃষ্টিকর্তা কে দোষারোপ করতেও বিন্দুমাত্র দেরি হয় না আমাদের। সত্যি বলতে সেই হিসেবে কিন্তু এই ভুজিসিক অনেক কিছুই পায় নি, কিন্তু তারপরেও সে থেমে নেই, নেই কোন আফসোস। হয়তো না পাওয়ার বেদনা তাকে কখন ও, স্পর্শও করতে পারেনি। আর এই যে ক্যানা মিহিরা.... ওনাকে আমরা কিভাবে চিন্তা করবো.... কিভাবে দেখবো ওদের সম্পর্কটা কে..? এমন একটা মানুষের কাছে নির্দিধায় কত সুখের সংসার করে যাচ্ছে সে। এই মেয়েটাও হয়তো কখনও ভাবেনা যে, সে কি পেলোনা... বরং সে কি পাচ্ছে সেটাই হয়তো তার কাছে মুখ্য বিষয়। আসলে সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সব কিছু দেয় না। কিন্তু তাই বলে আমরা যদি আমাদের না পাওয়া জিনিস গুলো নিয়ে সবসময় আফসোস করি, দুশ্চিন্তা করি, তবে দেখবেন জীবনটা বড় বিষাদময় হয়ে উঠবে এবং এর ফলে আপনি আপনার জীবনকে কখনোই উপভোগ করতে পারবেন না। না পাওয়ার শূন্যতা সবসময় আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। শুধু প্রয়োজন একটু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।


সৌদি আরব : সুইপারের চেয়ে ভিক্ষুকের আয় বেশি


সৌদি আরবে রয়েছেন প্রচুর ধনী ব্যক্তি। আবার সেই দেশেই রাস্তায় দেখা যায় ভিক্ষুক।
আরব নিউজ পত্রিকার খবর অনুযায়ী জেদ্দার স্ট্রিট সুইপার বা সড়ক পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিনে এগার ঘণ্টা কাজ করেন, তাও করতে হয় সপ্তাহে ছয় দিন। তবে সে তুলনায় আয় অনেক কম। তাদের এক মাসের আয় মাত্র ৪০০ রিয়াল বা ১০৭ ডলার।
সুইপারদের অনেকেই নির্ভর করেন বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পাওয়া বখশিশের ওপর। অবশ্য সেটি একেবারেই কম নয়, মাসে সাতশ থেকে আড়াই হাজার রিয়াল পর্যন্ত।
এত কষ্ট করে এতো কম আয় করা ইউনিফর্মধারী পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশেই দেখা মেলে ভিক্ষুকদের । 
বিশেষ করে রিয়াদ ও জেদ্দার সড়কে দেখা মেলে এসব ভিক্ষুকের এবং তাদের আয়ও খুব একটা কম নয়, কারণ দেশটিতে দান খয়রাতের একটি প্রথা চালু রয়েছে।
সৌদির ভিক্ষুকদের অনেকে আয়ের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। আর তা হলো, তারা এখন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করছেন এবং তার বিনিময়ে পাচ্ছেন অর্থ। তবে কর্তৃপক্ষের চোখে তারা ঠিক বৈধ নয় আর এর মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে অবস্থান করা বিদেশী বলেই মনে করেন অনেকে।
এরা অনেকে সড়কে সিগন্যালের কাছে থাকে এবং যানবাহন দাঁড়ালে সেগুলো পরিষ্কার করেআর বিনিময়ে বখশিস নেয়। অনেকেই আবার সেটি করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ইউনিফর্ম পড়েই, কর্তৃপক্ষের চোখে যা বৈধ নয়।
দেশটির সত্যিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা চাইছেন অতিরিক্ত অর্থ বা টিপস তাদেরকেই দেয়া হোক।
এ বিষয়ে মোহাম্মেদ নামক একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী আরব নিউজকে বলেন, "পয়সা দিতে হলে সেটি সত্যিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকেই দিন"।

এইচএসসিতে বিদেশি কেন্দ্র পাসের হার ৯৪ দশমিক ২১



চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের বাইরের সাতটি কেন্দ্র থেকে ২৫৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৪৪ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৪ দশমিক ২১ শতাংশ। তাদের মধ্যে ৪৬ জন জিপিএ -৫ পেয়েছে।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের এই ফলাফল প্রকাশ করেন।
 
কাতারের দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ মাসহুর উল-হক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৬৮ জন, আবুধাবির শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৪ জন, বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৬ জন, সউদী আরবের জেদ্দা ও রিয়াদ অবস্থিত বাংলাদেশ ইনটারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে যথাক্রমে ৬৫ ও ৬১ জন, বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪ জন এবং ত্রিপলির বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। বাসস

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও প্যারিসের মেয়রের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের বৈঠক



ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরোঁ, প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগো ও নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের অলিম্পিক গেমস আয়োজনে প্যারিসের প্রার্থিতার প্রেক্ষিতে এই গেমস আয়োজনে প্যারিসের প্রস্তুতি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কমিটিকে ব্রিফ করার উদ্দেশ্যে ১০ জুলাই ২০১৭ সুইজারল্যান্ডে এসেছেন। 
 
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পূর্বে প্রেসিডেন্ট মাকরোঁ তার হোটেলে প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন। প্রফেসর ইউনূস তারুণ্য ও প্রযুক্তির শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামাজিক ব্যবসা কীভাবে তিন শূন্যর লক্ষ্য (শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নিট কার্বন নিঃস্বরণ) অর্জন করতে পারে প্রেসিডেন্টের নিকট তা ব্যাখ্যা করেন। অল্প কিছু লোকের হাতে পৃথিবীর সম্পদের ক্রমাগত কেন্দ্রীকরণ সমাজে যে ক্ষোভ ও বিশৃংখলার পরিবেশ সৃষ্টি করছে-সে বিষয়ের ওপর তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, যুব সমাজের মধ্যে বর্তমানে বিদ্যমান ব্যাপক বেকারত্ব উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দূর করা সম্ভব।
প্রেসিডেন্ট মাকরোঁ প্যারিস নগরীর সম্মানসূচক নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। তিনি ইউনূস সেন্টার প্যারিসের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সব সময় অবহিত থাকারও আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্যারিসের অলিম্পিক আয়োজন কমিটিকে অলিম্পিক ২০২৪ এর পরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে সামাজিক লক্ষ্য অর্জনের মাত্রা যোগ করার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত পরামর্শ প্রদানের জন্য তিনি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান।
 
প্রফেসর ইউনূস এ বছরের ৬-৭ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠেয় ৮ম বিশ্ব সামাজিক ব্যবসা শীর্ষ সম্মেলন বক্তৃতা দেবার জন্য প্রেসিডেন্ট মাকরোঁকে আমন্ত্রণ জানান। 
 
ওই দিনই প্রেসিডেন্ট মাকরোঁ, প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগো, প্রফেসর ইউনূস এবং প্যারিস প্রতিযোগিতা কমিটির সদস্যরা ২০২৪ অলিম্পিক গেম্স আয়োজনে প্যারিসের প্রস্তুতির বিশেষ বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সকল সদস্যর উদ্দেশ্যে তাদের বক্তব্য রাখেন।
 
তার বক্তব্যে প্রফেসর ইউনূস অলিম্পিক গেম্সের মতো ক্রীড়া ও অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতাগুলো কীভাবে সমাজ পরিবর্তনের শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।

হেলসিংকিতে বাংলা নামে সড়ক

















বেঙ্গলিন পলকু বা বাংলা পথ
বেঙ্গলিন পলকু বা বাংলা পথ নামে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে একটি সড়ক আছে। প্রথমবারের মতো এ কথা শোনার পর নিজের কানকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। তবে তা আবিষ্কারের পেছনে একটা ইতিহাস আছে। কিছুদিন আগে আমার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা বাংলা নামে সড়ক রয়েছে। ফিনল্যান্ডে আছে কিনা জানি না। এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর শাহদীন কুদ্দুস নামে একজন বাংলাদেশি ভাই জানালেন, বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে রাজধানী হেলসিংকিতে রয়েছে একটি পথের নাম। ফিনিশ ভাষায় নাম বেঙ্গলিন পলকু। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় বাংলা পথ।

কথা প্রসঙ্গে শাহদীন কুদ্দুস আরও জানালেন, বেঙ্গলিন পলকু নামে এই পথটি হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পুলা ক্যাম্পাসের কাছে ইন্ডিয়ানকাতুর পাশ দিয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। তারপরও মনে মনে ভাবলাম থাকতেও পারে। আমাদের দেশে যদি বিভিন্ন দেশের বা ব্যক্তির নামে সড়কের নাম থাকতে পারে তবে ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশ নামে কিছু থাকতে পারবে না কেন। পরে গুগল সার্চ করে নিশ্চিত হলাম এই নামে একটি সড়ক রয়েছে।
বাল্টিককন্যা খ্যাত হাজার হ্রদ আর পাথুরে পাহাড়-পর্বতে ঘেরা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির আয়তন ১৮৪ দশমিক ৫ বর্গমাইল। জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। ১৫৫০ সালে এই হেলসিংকি শহরের গোড়াপত্তন হয় সুইডিশ সাম্রাজ্যের যুগে। ১৮১২ সালে রুশ সম্রাট আলেক্সান্ডার ১-এর সময় ফিনল্যান্ডের রাজধানী তুর্কু থেকে হেলসিংকিতে স্থানান্তরিত হয়। যার মূলকেন্দ্র সিনেটস স্কয়ার। যতটুকু জানা যায়, এর আদি নাম ছিল ভিরোনিয়েমি। পুরো শহর জুড়ে রয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সুইডিশ আর রুশ স্থাপত্যের নিদর্শন। কিছু কিছু সবুজ মাঠও আছে। ছোট ছোট দ্বীপ আর হ্রদের সমন্বয় আর পাহাড়ে সবুজ বৃক্ষরাজি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
যা হোক, অসমর্থিত সূত্রে বেঙ্গলিন পলকু সম্পর্কে যতটুকু জানা গেল তা হলো, ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের প্রতি ফিনিশদের সমর্থন আর বাংলাদেশিদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে ওই পথের ও এলাকার নামকরণ করা হয়েছে। ফিনল্যান্ডে বাংলা নামের এই পথ একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের জন্য আনন্দের ও গর্বের।

Fun Video