Thursday, July 20, 2017

ভারতের নতুন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মীরা কুমারকে হারিয়ে দেশটির নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন রামনাথ কোবিন্দ।  আজ বৃহস্পতিবার ছিল ভোট গননা পর্ব।  সেখানে মীরা কুমারকে হারিয়ে দেশের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি হলেন রামনাথ কোবিন্দ।  ইতিমধ্যে দেশের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বিরোধিরা।  রামনাথ কোবিন্দ পেয়েছেন ৬৬ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মীরা কুমার পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ ভোট।
বেসরকারি ফলাফলে রামনাথ কোবিন্দ এগিয়ে আছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫৮৫ ইলেক্ট্ররাল কলেজ ভোট পেয়েছেন কোবিন্দ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মীরা কুমার পেয়েছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৫৯৪ ইলেক্ট্ররাল কলেজ ভোট।
মেয়াদ শেষে ২৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়বেন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় দায়িত্ব পাওয়া প্রণব মুখার্জি।
পার্লামেন্ট ভবনের পাশাপাশি ২৯টি রাজ্যের বিধানসভা এবং দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরিসহ মোট ৩২টি কেন্দ্রে সোমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়।
এবারের এই নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়েছে; যা এই নির্বাচনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বলে এক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
৭৭৬ জন পার্লামেন্ট সদস্য এবং ৪ হাজার একশ ২০ জন এমএলএ-র মধ্যে কেবল মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র ভোটদানে অযোগ্য ঘোষিত হন। তার বিরুদ্ধে ‘টাকার বিনিময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ করানোর’অভিযোগ ছিল।
বিভিন্ন রাজ্যের আইনপ্রণেতাদের ভোটের মান তাদের রাজ্যের জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে। তবে পার্লামেন্ট সদস্যদের সবার ভোটের মান সমান (৭০৮)।
আনুষ্ঠানিক ফলাফর ঘোষণার অনেক আগে থেকেই কানপুরের নিকটবর্তী পারাউঙ্খে রাম নাথের বাড়িতে গান ও বাদ্য বাজিয়ে উৎসব চলছে, পাশাপাশি চলছে দেদার মিষ্টি বিতরণ।
নির্বাচনী প্রচারের সময় কৃষকের সন্তান ৭১ বছর বয়সী রাম নাথের সাদাসিদে জীবনযাপনকে তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতারা। হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের পরিচিত আইনজীবি রাম নাথ বিহারের গভর্নর ছাড়াও দুই দফা রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
১৯৪৫ এর ১লা অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রামনাথ কোবিন্দ।  দলিত কোলি সম্প্রদায়ের মানুষ তিনি।  মূলত চাষী পরিবারের সন্তান কোবিন্দ হাইস্কুল পার করে কমার্স নিয়ে স্নাতক পড়েন।  মাত্র তিন বারের চেষ্টায় রামনাথ কোবিন্দ IAS পরীক্ষায় পাশ করেন।
কিন্তু চাকরিতে যোগ না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেন LLBকরবেন।  এরপর কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনি পড়াশুনা শেষ করে দিল্লি হাই কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের উকিল পদে যোগদান করেন তিনি।  সুপ্রিম কোর্টের স্টান্ডিং কাউন্সিলে ছিলেন ১৯৮০ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত।  তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মুরারজি দেশাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারীও ছিলেন।
প্রথম থেকেই তিনি দলিত সম্প্রদায়ের হয়ে লড়াই করে এসেছেন।  রাজনীতিতে আসেন ভারতীয় জনতা পার্টির হাত ধরে।  উত্তর প্রদেশে রাজ্য সভার সদস্যও ছিলেন কোবিন্দ।২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাঁকে বিহারের রাজ্যপাল নিযুক্ত করেন।  কোবিন্দ ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্রও ছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Fun Video